বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ, ১৪৩১
বিনোদন ডেস্ক।।
বাবাকে কখনো বলাই হয়নি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথাটি। অথচ এই মানুষটির জন্যই রাজ্যের সব ভালোবাসা জমা হয়ে আছে মনের ভেতরে। আমার মতো হয়তো অনেকেরই মনের অবস্থা এক। হবেই না কেন? সন্তান বড় হয়ে গেলে বাবার সঙ্গে একধরনের দূরত্ব তৈরি হয়। অথচ এই বাবার পায়ে পা রেখেই হয়তো সন্তান প্রথম হাঁটা শিখেছে। কিংবা বাবার হাতের মাঝে হাত রেখে শিখেছে কোনো বর্ণ লিখতে। সময়ের ব্যবধানে সেই বাবা কেবল সংসারের কর্তা বনে যান। দূরত্ব বনে যায় সন্তানদের সঙ্গে।
নাটকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবিন তার বাবাকে নিয়ে আজ এক ঘটনা বর্ণনা করেছেন। যেখানে বাবাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘যেই মানুষ আমার সব চেয়ে আপন তার সাথেই এক অদ্ভুত দূরত্ব। তার জন্যেই আমার সময় নেই। তার সাথেই আমার জীবনে কি চলছে তা নিয়ে আলাপ হয় না।’
সাধারণত প্রতিটি সন্তানের কাছে বাবাই থাকে প্রথম সুপারহিরো। এক বটবৃক্ষ। সন্তানদের একটু ভালো থাকার জন্য যিনি হাসিমুখে সারাজীবন বিলিয়ে যান নিজেকে।
এই বাবাকে নিয়ে মেহজাবিন তার ফেসবুকে লিখেছেন, ঘুম থেকে উঠে গান শুনতে শুনতে প্রায় ১ ঘণ্টা পার হয়ে গেলো। হঠাৎ দরজায় বাবা নক করে। ঘুম এর ভান ধরলাম।যখন ৩/৪ বার ডাক দেন আমার নাম ধরে তখন বুঝি জরুরি কিছু হবে। দরজা খুলতেই দেখি বাবা দাড়িয়ে আছে মুখে হাসি নিয়ে, হাতে নাস্তার প্লেট, বললেন, এটা খেয়ে ফেলো, ঠান্ডা হলে ভালো লাগবেনা।” চরম লজ্জা পেলাম। লজ্জা লুকাতে বললাম, পাপা ভোর ৫ টায় ঘুমাইসি আমি। বাবা বললেন, মিউজিক বাজছিলো তোমার রুমে। তাই আমি ভাবছি তুমি উঠে গেসো। বাবা চলে গেলেআমি প্লেট নিয়ে দরজা বন্ধ করে ফেলি। ভিতরে ঢুকে ভাবলাম, হাসি মুখে “থ্যাংক ইউ পাপা” বললে কি ক্ষতি হতো? যেই মানুষ আমার সব চেয়ে আপন তার সাথেই এক অদ্ভুত দূরত্ব। তার জন্যেই আমার সময় নেই। তার সাথেই আমার জীবনে কি চলছে তা নিয়ে আলাপ হয়না। এই অদ্ভুত অবস্থা কি শুধু আমার নাকি সবার, তাও আমার জানা নেই।
বাংলা নাটকের জনপ্রিয় এক অভিনেত্রী মেহজাবিন। বর্তমান সময়ে একক নাটকের নাটকের শুটিংয়ে তার ব্যস্ততাই সবচেয়ে চোখে পড়ে।